স্বামী ও কথিত ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জেল থেকে মুক্ত করতে সামাজিক মাধ্যমে বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছুড়ে হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসা তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও আলোচিত জোড়া খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, ‘‘জোড়া খুন মামলায় আমরা তামান্না শারমিনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।’’
গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিনই তামান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দিয়ে প্রচুর টাকা ছুড়ে দাবি করেন, ‘‘এই টাকায় স্বামীকে বের করে আনব।’’ বিষয়টি ভাইরাল হলে তামান্নার নাম গণমাধ্যমে উঠে আসে।
৩০ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোডে একটি প্রাইভেট কারে গুলির ঘটনায় দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত এক যুবকের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ, তামান্না এবং আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বায়েজিদ এলাকায় ঝুট ব্যবসার দখল, অর্থনৈতিক বিরোধসহ অন্তত পাঁচটি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ইতোমধ্যে মামলার সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জোড়া খুনের ঘটনার পেছনে সাজ্জাদ ও তামান্নার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তাদের গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে জড়িত।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এই ঘটনায় চট্টগ্রামের অপরাধ জগতের একটি বড় সিন্ডিকেটের চিত্র সামনে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।